অবশেষে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে জাহাজটি ২৩ জন নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাক্কারা বন্দর থেকে ছেড়েছে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। শিপিং ওয়াচডগ মেরিন ট্রাফিকের ওয়েবসাইট অনুসারে, জাহাজটি বর্তমানে পারস্য উপসাগরে রয়েছে।
মিনা বন্দরে পণ্য লোডের সময় জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, আমিরাতের ফুজাইরা বন্দর থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহের জন্য করবে। তারপর চট্টগ্রামে ফিরবে। চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে ১১ বা ১২ মে পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
প্রসঙ্গত, এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ জন নাবিক মুক্তিপণ নিয়ে ১৩ এপ্রিল বিকেল ৩টা ০৮ মিনিটে জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পান। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর ২৩ জন নাবিক নিয়ে জাহাজটি ২১ এপ্রিল বিকেলে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। ২২ এপ্রিল জেটিতে নোঙর ফেলে। পরে কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
উল্লেখ্য, এমভি আবদুল্লাহকে দুপুর দেড়টার দিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে ধরা পড়ে। 12 মার্চ। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে ৫৫,০০০ টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। ছিনতাইয়ের পর জাহাজটি সোমালিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলে গারাকাদে নোঙর করে। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে ২০১০ সালে জলদস্যুরা জিম্মি করে। সেবার মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।