আসামিকে গ্রেফতারের নামে মসজিদের ইমামকে লাথি মেরে নারীকে হয়রানির অভিযোগে ঘাটাইল থানার এএসআইসহ ৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেখানে নেতৃত্ব দেন এএসআই আলমগীর হোসেন।
এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের আমুবাইদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিতা নারী বলেন, আমরা অপরাধী নই। আমাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে আমরা যখন ঘুমাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ পুলিশ এসে বাড়ির গেট ভেঙ্গে জোর করে ঘরে ঢুকে পড়ে। আমরা ভয় পেয়ে যাই। এরপর আইনের লোক পরিচয়ে ঘরের দড়জা খুলতে বলে। খুলতে দেরি হওয়ায় দড়জায় লাথি মেরে ভেঙে ফেলে। ওই রুমে তখন আমি শুধু ছিলাম। আমি নারী হওয়া সত্ত্বেও তারা ৭ জন পুলিশ ঢুকেছে। একজনও নারী পুলিশ ছিল না। তারা আমাকে নাজেহাল করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে মসজিদের ইমাম ভুক্তভোগী রাব্বানী জানান, তখন রাত দেড়টা বাজে। ওই সময় বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা মানে কোনো চোর ডাকাত বা সন্ত্রাসী আসতে পারে এটাই স্বাভাবিক। আসামি না হওয়া সত্ত্বেও তারা এভাবে দরজা ভেঙে বাড়িতে পুলিশ প্রবেশ করেছে এটি কোনোভাবে কাম্য নয়।
দরজা ভেঙে ওই নারী কক্ষে প্রবেশের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এএসআই আলমগীর হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার তদন্ত ওসি সজল খান বলেন, একই নামের আসামি থাকায় ওই বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল। পরে নাম ভুল হওয়ায় পুলিশ চলে এসেছে। তবে তারা দরজা খুলতে দেরি করায় পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।