ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) চেয়ারম্যানসহ সব স্বতন্ত্র পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার তারা পদত্যাগ করার পর রোববার (৫ মে) নতুন বোর্ড গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (৫ মে) উদ্যোক্তা পরিচালক খলিলুর রহমানকে চেয়ারম্যান করে ১০ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন ও সিকদার ইন্স্যুরেন্সের প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সফিকুর রহমানও এই পর্ষদে আছেন। বৃহস্পতিবার এই তিনজন ছাড়া অন্যরা পদত্যাগ করেন।
নবনিযুক্ত প্রতিনিধি পরিচালক- প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম, ব্যবসায়ী এরশাদ মাহমুদ, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একেএম তফাজ্জল হককে। আর স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, চার্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ড. রত্না দত্ত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবিএম জহুরুল হুদাকে। পরিচালনা পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান সোমবার সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
ব্যাংকের এমডিকে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৭(১) ও ৪৮(১) ধারা অনুযায়ী ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অবিলম্বে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা এবং ব্যাংকের সুশাসন নিশ্চিত করতে জনস্বার্থে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।
বাধ্যতামূলক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে টানাপোড়েনের কারণে তারা সবাই পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৯ এপ্রিল ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে ডেকে ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির নির্দেশ দেয়। তবে, ২৭ এপ্রিল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয় যে ইউসিবি অন্য কোনো ব্যাংকের সাথে একীভূত হবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘স্বেচ্ছাসেবী’ একীভূতকরণ প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয় যখন কিছু পরিচালক প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কথা বলেন। এছাড়া যেসব ব্যাংক একীভূত হচ্ছে সেগুলো নিয়েও নানা সমালোচনা শুরু হয়।