আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে অনুগত বিরোধী দল বানাতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন দলের চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নেতা আছে, জাতীয় পার্টি আছে, নেতা থাকলেই জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে। আমি নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে না থাকলেও দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। আমাকে নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি দলকে বাঁচাতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। আওয়ামী লীগ এখন স্বৈরাচার কায়েম করতে চাইছে।
জিএম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনকে জীবন-মৃত্যুর লড়াই মনে হয়েছে। নির্বাচন সফল করতে তিন শক্তি চেষ্টা করেছে। অনেকেরই নিজেদের স্বার্থ জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, “আমরা না গেলেও নির্বাচন হয়ে যেত। আওয়ামী লীগ গ্রহণযোগ্যতার নির্বাচন নিতে লালায়িত ছিল না। তারা আমাদের অনুগত বিরোধী দল বানাতে চায়। তারা কিছু পচা আবর্জনা ফেলে বিশ্বস্ত বিরোধী দল করতে চায়। কিন্তু আমি দেশীয় বিরোধী হতে রাজি নই।
বিরোধী দলের এই নেতা বলেন, “নির্বাচনে ২৬টি আসনে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি জনগণের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। আমাদের ২৬টি আসনের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। এই তালিকার অর্থ হলো জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে না , আমি আমার নিজের ইচ্ছায় কোনো মনোনয়ন দেইনি।’
এরশাদ ও তার পরিবারকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই বলে আমি আমার স্ত্রীর জন্য দল বিক্রি করেছি, যা সত্য নয়। দলের ভালোর জন্য উত্তরা আসনটি নিতে চেয়েছিলাম। আমাকে ধ্বংস করা মানে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করা, এটাই চেষ্টা করা হয়েছে।’
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, “আমি ভেবেছিলাম বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না। কারণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার বদলানো যায় না। এক কোটি মানুষ আন্দোলন করলেও সরকার পরিবর্তন হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব।