বর্তমানে বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা নেহা কক্কর। তিনি ১৯৮৮ সালের ৬ জুন উত্তরাখণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক সমস্যা ও কষ্ট নিয়ে বড় হতে হয়েছে তাকে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সেই দিনগুলোর গল্প বলেছেন নেহা।
এই সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন সাধারণ মেয়ে। শৈশব কেটেছে দারিদ্র্যের মধ্যে। বাবার সঙ্গে জগন্নাতে যাওয়ার স্মৃতি আজও মনে পড়ে নেহার।
প্লেব্যাক সিঙ্গার সোনু কক্করের ছোট বোন তিনি। তাদের একজন ভাইও রয়েছে, যার নাম টনি কক্কর। তিনি নিজেও গায়ক।
ছোটবেলায় অর্থ উপার্জনের জন্য পরিবারের সঙ্গে দিল্লি চলে আসেন নেহা। দুই ভাইবোন ও বাবা-মা নিয়ে একটি ঘরে মোট পাঁচজন একসঙ্গে থাকতেন। তাদের জন্য এর চেয়ে দামি বাড়ির ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না।
দিল্লির উত্তম নগরের নিউ হলি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন নেহা। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়ে রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সিজন ২-এ প্রতিযোগী হিসাবে উপস্থিত হন। এরপরই বদলে যেতে শুরু করে নেহার জীবন। ডাক পেয়ে যান বলিউডে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক গানে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান ভারতজুড়ে।
এত কিছুর পরও পুরনো স্মৃতি ভোলেননি নেহা। গত বছর, তিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দুটি ছবি শেয়ার করেছিলেন। একটিতে গ্র্যান্ডকে বাংলোর বাইরে পোজ দিতে দেখা যায়। অন্যটিতে পুরনো বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে।
নেহা বোঝাতে চায় জীবন কতটা বদলে গেছে। অতীতের কথা তার এখনো মনে আছে। তাই হয়তো একজন প্রতিযোগীর জীবন সংগ্রামের কথা শুনে তার চোখে পানি চলে আসে।
এক বছর আগে পাঞ্জাবি গায়ক রোহনপ্রীত সিংকে বিয়ে করেন নেহা। এর আগে আদিত্য নারায়ণ ও হিমাংশ কোহলির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নেহার। রোহনপ্রীত সিং পাঞ্জাবের বাসিন্দা। সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসের মাধ্যমে লাইমলাইটে প্রবেশ করেন।