গ্রামীণ টেলিকম কর্মচারীদের ভবিষ্যত তহবিলের লভ্যাংশ ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় জামিন পেয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ আদেশ দেন। আগামী ২ জুন অভিযোগের শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শর্তসাপেক্ষে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে আজ আদালতে চার্জশিট শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাকে বিশেষ জজ আদালত-৪ এ হাজির করা হয়। মামলার অন্য আসামিরাও হাজির হন।
ইউনূসের আইনজীবী জানান, আজ তারা জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করবেন।
এর আগে গত ২ এপ্রিল মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট গ্রহণ করেন ড. ওই দিন মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৪-এ স্থানান্তর করা হয়।
২০২৩ সালের ৩০ মে, মুহাম্মদ ইউনূস সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে নোবেল বিজয়ী ড. প্রতিষ্ঠানটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এরপর ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। দুদকের মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। চার্জশিটে নতুন আসামির নাম এসেছে।
এ মামলার আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মো. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মোঃ শাহজাহান, নূরজাহান বেগম এবং পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
এ ছাড়া অ্যাডভোকেট মোঃ ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।