কিডনি দিয়ে স্বামীকে বাঁচালেন গৃহবধূ। তবে স্বামীর জীবন বাঁচাতে পারলেও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি তিনি।ছিনতাইকারীর হামলায় তিনি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুদুর রহমান গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গৃহবধূর নাম ববিতা আক্তার (৩২)। ববিতা আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের বাইপাইল মন্ডলবাড়ি এলাকার নাদিম মন্ডলের স্ত্রী।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল ববিতা তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে ফুচকা খেতে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় বের হন। এরপর ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুচকা খেয়ে অটোরিকশায় করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় শাহরিয়া গার্মেন্টসের সামনে পৌঁছালে দুই মোটরসাইকেলবাহী ডাকাত চলন্ত রিকশায় থাকা ববিতার ব্যাগ ও গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। ববিতা চলন্ত রিকশা থেকে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ববিতা আক্তারের দেবর কাদের হৃদয় জানান, গত অক্টোবরে তার ভাইয়ের দুটি কিডনি বিকল হলে ভাবী তাকে একটি কিডনি দেন। কিন্তু ছিনতাইকারী আঘাতে ৭ দিন হাসপাতালে থাকার পর তিনি মারা যান।