বগুড়ায় একটি আবাসিক বাড়িতে বিস্ফোরণে আহত তাসনিম বুশরা (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মা/রা যান।
বুশরা বগুড়া শহরের একটি স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী এবং মালতিনগর মোল্লাপাড়ার আলী হোসেনের মেয়ে।
গত ২৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মালতিনগরের মোল্লাপাড়ায় কাঠ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম ও রাশেদু ইসলামের বাড়িতে ভয়াবহ বি/স্ফোরণ ঘটে। এতে বুশরাসহ রেজাউলের স্ত্রী রেবেকা ইসলাম (৩৮), মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৫) ও রাশেদুলের মেয়ে জিম (১৩) গুরুতর আহত হন।
তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুশরাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেওয়ার পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।
বুশরার মামা রাশেদুল রিপন জানান, বিস্ফোরণে বুশরা গুরুতর আহত হন এবং বাড়ির দেয়ালে পিষ্ট হন। ঢাকায় তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। মরদেহ বগুড়ায় আনা হচ্ছে।
২৮ এপ্রিল রাতে রহস্যজনক বি/স্ফোরণে ওই বসতবাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। ঘরের দেয়ালসহ খাট, আলমারি, আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরদিন ২৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে বো/মা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বিপুল পরিমাণ আতশবাজি, গানপাউডার ও পটকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বাড়ির মালিক রেজাউলের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে দীর্ঘদিন ধরে মা রেজিয়া ও ছোট ভাই রাশেদুলসহ বসতবাড়িতে পটকা তৈরি করে আসছিল। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে রেজাউলের মা ও ভাই রাশেদুল পলাতক রয়েছে।
বনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বুশরার মৃত্যুর খবর শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।