দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নেতাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোক পত্রে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দলীয় শৃঙ্খলার সম্পূর্ণ লঙ্ঘন এবং দলের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতারাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতি করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দলটির সূত্র জানায়, শোকাহত ৬৪ নেতার মধ্যে ৫ জনকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্বেগের চিঠির জবাব পাওয়ার পর দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যারা দলীয় পদে আছেন যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান তাদের বহিষ্কার করা হবে।
বহিষ্কৃত ৬৪ নেতার মধ্যে ৫ জন, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার সভাপতি ফাহিম ফয়সাল চৌধুরী ধূমকেতু, দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাদেক আলী, চট্টগ্রামের ১২ নম্বর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ। উত্তর জেলা, সদস্য জহুরুল আলম ও ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ঈদগাঁও উপজেলা জেলে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হান্না মিয়া।