গত বৃহস্পতিবার দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে সমাজসেবী মিল্টন সমাদ্দারের আসল রূপ উন্মোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে তার বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা ও আশ্রমে অনিয়মের চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এই ঘটনায় রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, শিল্পী, সমাজসেবক সহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ মিল্টনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। অনেকেই ফেসবুক ও মিডিয়ায় তার বিভিন্ন প্রতারণা ও অসৎ আচরণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন।
অভিযোগের ঝড়:
ঢাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী অভিযোগ করেন মিল্টন অনুদান সংগ্রহের জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন এবং অসহায় মানুষদের শোষণ করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. গুলজার হোসেন উজ্জল বলেন মিল্টনের আশ্রমে বৃদ্ধদের অমানবিক পরিবেশে রাখা হয় এবং তাদের চিকিৎসার ব্যাপারেও অনিয়ম রয়েছে।
এক ভুক্তভোগী মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ করেন মিল্টন তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও চাকরি দেননি।
নায়িকা জাহারা মিতু মিল্টনের প্রতারণাকে ‘অভিনব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
কালকিনি থেকে ইফতেখার আলম রিশাদ অভিযোগ করেন মিল্টন এক অসুস্থ মানুষের প্রতি অমানবিক আচরণ করেছেন।
বাংলাদেশ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নাফিসা আনজুম খান বলেন মিল্টনের অহংকারের কারণে তিনি আগেও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি।
মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তিকর ছবি-ভিডিও:
তদন্তে মিল্টন সমাদ্দারের ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য, বিভ্রান্তিকর ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে অনুদান সংগ্রহের প্রমাণ পাওয়া গেছে। খ্রিস্টান হলেও তিনি মুসলিম পরিচয়ে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।
এই ঘটনায় সাভার ও বরিশালের সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মিল্টনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দাবি করছেন।
আইনি প্রক্রিয়া:
এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য:
এই প্রতিবেদনটি ২০২৪ সালের ২৭ এপ্রিল তারিখের সংবাদ প্রতিবেদনগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি এখনো প্রমানিত হয়নি। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।