সম্প্রতি তারকাদের কর্মকাণ্ডে কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখ পড়তে হয় সমগ্র বিনোদন জগতের মানুষদের।ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে মন্তব্যে করে সমালোচনা মুখে পড়লেও তাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয়।যার ফলে তারকাদের প্রতি ভক্ত ও দর্শকরা আগ্রহ ফেলছে।বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
এই রূপসী ভদ্রমহিলার নাম কাজী রোমানা ইসলাম নীড়। উনি সম্ভবত সি গ্রেডের অভিনেত্রী। উনার স্বামীর নাম জয় চৌধুরী। হালে মাওয়ালিগিরি করে আলোচনায় উঠে এসেছেন জয় চৌধুরী। শুনেছি তিনি নাকি নায়ক। এমন ভোম্বল দাশ মার্কা নায়ক এফডিসির জন্য অভিশাপ। তিনি শুধু দাঁত কেলিয়ে ক্লোজআপ টুথপেষ্টের ডামি হাসি হাসতে জানেন। তার ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন দেখলে হাসি পায়। আগায় পাছায় মাশাআল্লাহ বড়সড় ব্যক্তি হলেও নায়কের যোগ্যতায় পিছিয়ে আছেন। জয় চৌধুরীর একটাই ভালো গুণ আছে-ফিতা কাটা দাঁত কেলানো আরেক জনৈকা অভিনেত্রীর পেয়াদার ভূমিকা পালন করছেন। অভিনেত্রীর ছেলের “ভার্চুয়াল মামু” সেজে একটা মহলকে ইমপ্রেস করার কোর্স কমপ্লিট করেছেন। কিন্তু তাতেও ভাগ্য খোলেনি। আজ দেখলাম জয় চৌধুরীর স্ত্রী রোমানা ইসলাম ধুতুরার রস খেয়ে পাগল হয়ে ফেসবুকে মাতলামি করেছেন। রোমানা তার স্বামীকে সালমান শাহ’র সাথে তুলনা করেছেন। তার বোধশক্তি দেখে হাসবো নাকি কাঁদবো বুঝতে পারছিনা। কোথায় সালমান শাহ আর কোথায় জয় চৌধুরী !!! বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সালমান শাহ-ই হচ্ছেন মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল পার্সন। যিনি মৃত্যুর পরেও দর্শকদের ধরে রাখতে পেরেছেন। আজও তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। আজও মানুষ সালমানের শূন্যতায় কষ্ট পাচ্ছে। এমনকি মান্নাও সালমানের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি। রোমানা ইসলাম তার স্বামী জয় চৌধুরীকে সালমানের পাশে দাঁড় করিয়েও স্বস্তি পাননি। তিনি ছুটেছেন মান্না আর শাকিব খানের দিকেও। মান্না শাকিবদের উঁচুস্তরের জনপ্রিয়তা বোঝার ক্ষমতা রোমানার মধ্যে তৈরি হয়নি। আর শাকিব খান বিষয়ে বলতে হয়, আপাতত তিনিই হলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার। শাকিব খান ছাড়া চিত্রজগত অন্ধকার। শাকিবের মত লং লাস্টিং কেউ করেননি। জয় চৌধুরীর বউ বেতাল হয়ে প্রলাপ বকছেন। রোমানা কি বলতে পারবেন জয় চৌধুরী কয়টা হিট ছবি উপহার দিয়েছেন? তার দু’চারটা ফেমাস ফিল্মি গানের লিস্ট দিতে পারবেন? জানতে চাই,কোন গোত্রের নায়ক এই জয় চৌধুরী? আরও বিশ বছর অভিনয় করলেও তিনি সালমান-মান্না-শাকিবদের কেশ স্পর্শ করতে পারবেন না। জয় সংলাপ উচ্চারণে অত্যন্ত আনাড়ি। তাজ্জব লাগে এরা কি করে নায়কের রোল পায়। জয় চৌধুরী গ্রেট চামচা। চামচাদেরকে দর্শকরা সিনেস্ক্রিনে দেখতে পছন্দ করেনা। এফডিসিতে ঘটে যাওয়া মারামারি চুলোচুলির ঘটনায় জয়ের অ্যাগ্রেসিভ আচরণ কারো পছন্দ হয়নি। তবে ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে মোড় দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। শিল্পী সমিতি দিনদিন অভিশপ্ত হয়ে উঠেছে। অখাদ্য কুখাদ্য অভিনেতা অভিনেত্রীদের দাপটে এফডিসি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।