রাজশাহীর তানোরে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এক আদিবাসী তরুণী (২০) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত রোববার উপজেলার কলমা ইউনিয়নের শালতলা গ্রামে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে তানোর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সাবাই আদিবাসী যুবক।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের চকরতিরাম (শালতলা আদিবাসীপাড়া) গ্রামের বাজুন মারডীর ছেলে সামুয়েল মারডী (২৫), একই গ্রামের কিলিশ মুর্মুর ছেলে রুবেল মুর্মু (২১) ও নরেশ হাঁসদার ছেলে শিবেন হাঁসদা (২২)। মুসলিম ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করায় আদিবাসী তিন যুবক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
তানোর থানার ওসি আবদুর রহিম জানান, এ ঘটনায় তানোর থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এরপর রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। একই সঙ্গে ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে ওসি আরও জানান, মেয়েটির বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামে।
সম্প্রতি চক্রটিরাম তার দুই বোনকে নিয়ে তার খালার বাড়িতে আলু তুলতে আসেন। এ সময় চক্রটিরাম গ্রামের মৃত হামেদ আলীর ছেলে রহিমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
এর ভিত্তিতে রোববার মেয়েটি রহিমের সঙ্গে দেখা করতে তার খালার বাড়িতে আসে। রাত ৯টার দিকে মেয়েটি তার খালার বাড়ির পাশে একটি আখ বাগানে রহিমের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এ সময় তিনজন আদিবাসী যুবক সেখানে আসে। তাদের দেখে রহিম পালিয়ে যায়। পরে এক মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেম করায় তিন আদিবাসী যুবক মেয়েটিকে ধ*র্ষণ করে।