নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সরকার কর্তৃক টার্গেট ও হয়রানির শিকার হচ্ছে- তার জামিনের পর মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
এ আদেশের পর ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,
ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন আবেদনে আদালত ‘না’ বলেছেন তবে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
সে অভিযোগ করে বলেন,
অন্য আসামিরা দীর্ঘমেয়াদি জামিন পান, তবে শুধুমাত্র সরকারের রোষাণলে তা পাচ্ছেন না ড. ইউনুস। তবে এ বিষয়ে কিছু বলেননি অধ্যাপক ইউনূস।
তবে ইউনূস বলেন, সবাই নিরাপদে থাকুক, শঙ্কামুক্ত হোক, সবার স্বপ্ন পূরণ হোক। হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনূস বলেন, আদালত যা বলবে তাই হবে।
এদিকে বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন,
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি স্থায়ী জামিন পেতে পারেন না। হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাকে হয়রানি করা হচ্ছে না বা তার ভাবমূর্তি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। আইন অমান্য করে তার বিচার হচ্ছে।
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা মানেই বিতর্ক, মামলা মানেই উত্তেজনা, আদালতের ভেতরে কথার লড়াই আছে, আইনের খেলা আছে।
শ্রমিক প্রতারণার মামলায় আজ ইউনূসের হাজিরা ঘিরে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক থামেনি। একপক্ষের আপত্তি অন্যপক্ষের আবেদনে এভাবেই শুনানি শেষ হয়।
এদিন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জন স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। আদালত সাড়া দেননি। তবে জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিদেশে যেতে চাইলে অবশ্যই আদালতকে জানাতে হবে।
শ্রমিক প্রতারণার মামলায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২৮ জানুয়ারি খালাসের আবেদন করলে ওই দিনই তাকে জামিন দেওয়া হয়। এর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় অধ্যাপক ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হলো।