বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাওয়া পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান পদত্যাগ করেছেন। এরই মধ্যে তাকে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনআরবি ব্যাংক।
এদিকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ছুটিতে পাঠানো এমডি মো. হাবিবুর রহমান এখনো কাজে ফিরতে পারেননি। কিন্তু মেঘনা ব্যাংকে নতুন এমডি পেয়েছেন আর বাংলাদেশ ব্যাংক প্রিমিয়ার, এনসিসি ও বেসিক ব্যাংকের এমডি নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি পদ্মা ব্যাংককে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই ব্যাংকের অডিট করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিরীক্ষক নিয়োগ করেছে। এদিকে পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান পদত্যাগ করেছেন। তিনি এনআরবি ব্যাংকে যোগ দিতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেলেই এনআরবি ব্যাংকে যোগ দেবেন তারেক রিয়াজ খান।
গত ফেব্রুয়ারিতে এনআরবি ব্যাংকের এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেন মামুন মাহমুদ শাহ। এরপর থেকে ব্যাংকটি পরিচালনা করছেন ভারপ্রাপ্ত এমডি।
পদ্মা ব্যাংক থেকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে তারেক রিয়াজ খান দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে যাচ্ছে বলে আমি পদত্যাগ করেছি। নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব কি না তা দেখছি।
ইতিমধ্যে, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১-এ, তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি হিসাবে যোগদান করেন হাবিবুর রহমান একটি শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংকে রূপান্তরিত হওয়ায়। নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি তাকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। কোম্পানির পর্ষদের একজন প্রভাবশালী পরিচালকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে জানতে পারলে পরিদর্শন শুরু করে। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তবে হাবিবুর রহমানকে এমডি পদে ফেরানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিদর্শনে এমডি দোষী না হলে তাকে কাজে যোগ দিতে হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন আর আগের মতো এমডিদের বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই।
এছাড়া মেঘনা ব্যাংকে এমডি হিসেবে যোগ দিয়েছেন কাজী আহসান খলিল। এর আগে তিনি এনআরবি ব্যাংকের ডিএমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আনিসুর রহমান আবারো এক বছরের জন্য বেসিক ব্যাংকের এমডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ আবু জাফরকে এমডি হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংক। তিনি আগে ঢাকা ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। এম শামসুল আরেফিনকে এমডি হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিসি ব্যাংক। আর এসব আবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেয়ে তারা নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেবেন।