যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি।তাদের নেতারা জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তথাকথিত সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও স/হিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপি ও তার সহযোগীদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনী সরকারের অগ্রগতি ও দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। তাদের প্রধান টার্গেট দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে, জনকল্যাণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সবসময় জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।”
বিএনপির গণবিরোধী রাজনীতির কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে জনগণকে শত্রু হিসেবে গণ্য করে শাসন-শোষণ-নিপীড়নের স্টিম রোলার চালিয়েছে। সন্ত্রাস ও উগ্রবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।এখন তারা সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
কাদের দাবি করেন, বিএনপি আগের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে দিয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আদালত যখন জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়, তখন বিএনপি নেতারা তা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেন। বিএনপি আসলে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি তার নিজস্ব সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনী তথা বাংলা ভাইয়ের মতো হিংস্র সন্ত্রাসীকে ক্ষমতায় বসিয়ে তাকে রক্ষার জন্য ‘বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।